ঢাকা : ধর্ষণের শিকার নারীর ক্ষেত্রে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ পদ্ধতির প্রয়োগ নিষিদ্ধ করেছেন হাইকোর্ট। এ ক্ষেত্রে ধর্ষণের শিকার নারীর পরীক্ষার ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত হেলথ কেয়ার প্রটোকলের উল্লেখ পদ্ধতি অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ধর্ষণ মামলার বিচার চলাকালে আইনজীবীরা নারীর প্রতি অমর্যাদাকর কোনও প্রশ্ন করতে পারবেন না বলেও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ পদ্ধতির প্রয়োগ করা যাবে না। তাছাড়া, ধর্ষণের শিকার নারীর পরীক্ষার সময় নারী চিকিৎসক, নারী পুলিশ সদস্য, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও নারী নার্সের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশনাটি সংশ্লিষ্ট আইনজীবী, চিকিৎসক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, প্রসিকিউটরকে কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও শারমিন আক্তার। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক।
পাঠকের মতামত